স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লার প্রত্নস্থল সমূহের আলোকচিত্র প্রদর্শনী সম্পন্ন হয়েছে।
২৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) শুরু হওয়া এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী শেষ হয় গত ৩১ মার্চ (মঙ্গলবার)।
সপ্তাহ ব্যাপী এই প্রদর্শনীতে কুমিল্লার প্রত্নস্থল ছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্দোলন সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
এতে শালবন বৌদ্ধ বিহার ছাড়াও কুমিল্লায় অবস্থিত আরো ৩২টি পুরাকীর্তির ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে পুরাকীর্তি গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছার জমিদার বাড়ি, সদর উপজেলার সতের রত্ন মন্দির, লালমাই উপজেলার চন্ডিমুড়া মন্দির, কোটবাড়ি এলাকার ইটাখোলামুড়া, রুপবানমুড়া, নগরীর রানীর কুটি ও শচীন দেব বর্মণের বাড়ি প্রভৃতি ।
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ, কুমিল্লা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতত্ব স্থল শালবন বিহারের প্রধান ফটকের সামনে।
সেখানে প্রতিদিন শতাধিক দর্শনার্থী আলোকচিত্র দেখতে আসেন বলে জানান চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ, কুমিল্লা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান।
তিনি বলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত অঞ্চলসময়হের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। আবার বাংলাদেশের মধ্যে কুমিল্লায় বহু প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ রয়েছে।
কিন্তু সঠিক উদ্যোগ না থাকা, প্রত্নস্থল আবিস্কারে সঠিক পদক্ষেপ না থাকার কারণে অনেক উন্নত সভ্যতার প্রত্নস্থল আবিস্কার র করা সম্ভব হচ্ছেনা।
আমাদের প্রত্নস্থলের অনেক সমৃদ্ধ। এই প্রত স্থলসমূহকে কেন্দ্র করে এদেশে ট্যুরিজমকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব। যা রাষ্ট্রীয় মুনাফা অর্জনে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লার প্রত্নস্থল সমূহের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে আমরা একটি বঙ্গবন্ধু কর্ণার রেখেছি। কারণ এদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পিছনে যার সর্বোচ্চ অবদান। তার আন্দোলন সংগ্রাম দেশী-বিদেশী মানুষদের মাঝে তুলে ধরা প্রয়োজন।
জানা যায়, গত ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ, কুমিল্লা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত কুমিল্লার প্রত্নস্থল সমূহের আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
এসময় অন্যনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার কুমিল্লার উপ-পরিচালক শওকত ওসমান. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তান বিভাগীয় প্রধান মোহা. সাদেকুজ্জামান, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা শুভাশিষ ঘোষসহ প্রমুখ।